প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২২
বিনোদন ডেস্ক
যখন থেকে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে, তখন থেকেই অনেকবার রাজকে পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকতে দেখা গেছে।
এ নিয়ে বহুবার ট্রোলের শিকারও হয়েছেন রাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে অনেকবার ব্যঙ্গ করা হয়েছে। কিন্তু তার ভক্তরা কেন এমন করেন রাজ, তা জানার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন তবে এই নিয়ে রাজ কখনই তার নীরবতা ভাঙেননি।
এরপরও মুখোশ পরে বাইরে ঘুরে বেড়ান শিল্পার স্বামী। রেস্তোরাঁ থেকে দিওয়ালি পার্টি -সব জায়গায় নানারকম মুখোশ পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে তাকে। তবে এবার প্রথমবারের মতো এই রহস্য ফাঁস করলেন রাজ কুন্দ্রা।
অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ বলেন, “সাধারণ মানুষের কারণে মুখোশ পরি না। আমি মিডিয়ার ক্যামেরা এড়িয়ে চলার জন্য এই কাজ করছি। আমাকে মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, এতে আমি খুব আহত হয়েছি। গণমাধ্যমও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
২০২১ সালের ১৯ জুলাই শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পর্নো তৈরি করে তা বিভিন্ন অ্যাপে প্রচার করতেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৪২০ (প্রতারণা), ৩৪, ২৯২ ও ২৯৩ (অশ্লীল ছবি ও অশালীন বিজ্ঞাপন তৈরি এবং তা প্রচার) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলায় বলা হয়, “রাজ কুন্দ্রা হটশট নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফিক ভিডিও নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। যখন গিহান ভাশিষ্ট নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তখন তিনি উমেশ কামাত নামে একজনের নাম নেন। উমেশ কামাত রাজ কুন্দ্রার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী-পিএ। তিনিই এসব বিষয়ে রাজ কুন্দ্রার জড়িত থাকার কথা পুলিশকে অবহিত করেছিলেন।”
পুলিশের এক বিবৃতি বলছে, “তদন্তে জানা গেছে যে, রাজ কুন্দ্রা নিয়মিত এই অ্যাপের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে আসছিলেন। তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করেছিলেন যার অ্যাডমিনও ছিলেন তিনি নিজেই। এই গ্রুপে তিনি হটশটের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছিলেন। এসম্পর্কিত বিতরণ এবং আর্থিক লেনদেন নিয়ে সেখানে আলোচনাও করতেন তিনি।”
একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর মুম্বাই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রাজের বিরুদ্ধে ১৫০০ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় মুম্বাই পুলিশ। ১৮ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্র আদালতে জামিন আবেদন করেন রাজ। তার আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় পুলিশের কাছে রাজের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার রুপি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান রাজ।
সারাদিন/০৩ নভেম্বর/এমবি